যোগী পাহাড় জৈন মন্দিরের প্রস্তাবিত প্রতিরূপ
যোগী পাহাড় জৈন তীর্থক্ষেত্র
বীরভূমের নানা প্রান্তে জৈন ধর্মের ইতিহাস রহস্যময়ভাবে লুকিয়ে আছে। কেউ কেউ মনে করেন মহাবীরের নাম অনুসারে এই ভূখণ্ডের নাম মহাবীরভূমি থেকে বীরভূমি থেকে বীরভূম হয়েছে। জৈন বিশ্বাস অনুযায়ী সেয়ম্বিয়ার রাজা পারদেশী মহাবীরের চরণে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, সেই সেয়ম্বিয়ার বর্তমান নাম সাঁইথিয়া। দেউচার কাছে উশকা গ্রামের যোগী পাহাড়ে আছে মহাবীরের পদচিহ্ন। তাই যোগী পাহাড় প্রসিদ্ধ জৈন তীর্থ রুপে আজ সারা ভারতে পরিচিত। কথিত আছে এই পাহাড়ে চণ্ড কৌশিক নামে এক বৃহৎ সর্প মহাবীরকে দংশন করলে তিনি তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে বিষকে দুধে পরিণত করেন।
নির্মীয়মান জৈন মন্দির
যোগী পাহাড়
কি কি দেখবেনঃ যোগী পাহাড় দর্শনের পর কাছেই চলে যেতে পারেন ম্যাসাঞ্জর ড্যামে ময়ূরাক্ষী জলাধারা সহ প্রাকৃতির অপরূপ শোভা। সাঁইথিয়ায় অবশ্যই দেখবেন মার্বেল পাথরে নির্মিত জৈন মন্দিরের অপূর্ব স্থাপত্য। সিউড়ি তিলপাড়া ব্যারেজে মিলে যেতে পারে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক।
থাকা-খাওয়াঃ যোগী পাহাড় উশকা নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত। তাই এখানে থাকা বা খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। নিকটবর্তী সাঁইথিয়া বা সিউড়িতে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলতে হবে।
মহাবীরের পদচিহ্ন
কি ভাবে যাবেনঃ সিউড়ি অথবা সাঁইথিয়া থেকে মহম্মদ বাজার হয়ে যোগী পাহাড় কাছাকাছি কুড়ি কিমি পথ। ডেউচা হয়ে ছোট উশকা গ্রামে যোগী পাহাড়ে উঠে দেখা যাবে মহাবীরের পদচিহ্ন। বর্তমানে কলকাতার শ্বেতাম্বর জৈন সমাজ স্থানটি নবরূপে সজ্জিত করছেন।