সিউড়ির লাল গির্জা
সিউড়ির লাল গির্জা
বীরভূম জেলার প্রাচীন গির্জাটি সিউড়িতে অবস্থিত। বীরভূমে খ্রিস্ট ধর্মের সূচনা উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। ১৮২৬ সালে শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি এবং মার্শম্যানের দ্বারা প্রেরিত হয়ে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে আসেন উইলিয়ামসন দম্পতি। পরবর্তীতে ১৮৭৬ সালে তৈরি হয় নর্মান ইভানজেলিক্যাল লুথারের চার্চ যা লাল গির্জা নামে পরিচিত।
সিউড়ির লাল গির্জা
গির্জার ভিতরে
থাকা-খাওয়াঃ সদর শহর হওয়ার কারণে হোটেল রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন।
মেলা ও উৎসবঃ বীরভূমের অন্যতম প্রাচীন মেলা এই সিউড়ির বুকে আজও অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, যা সিউড়ির বড়বাগান মেলা বলে প্রসিদ্ধ। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সংস্পর্শ ধন্য এই মেলা ১৮৯৬ সালে কৃষি প্রদর্শনী মেলা রূপে শুরু হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব সারাবছরই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
গির্জার প্রবেশ দ্বার
লাল গির্জা
কি কি দেখবেনঃ সিউড়ি বীরভূমের সদর শহর। নানান ইতিহাসের সাক্ষী এ শহর। আছে ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জেলার প্রাচীনতম রামরঞ্জন গ্রন্থাগার যা বর্তমানে বিবেকানন্দ গ্রন্থাগার নামে পরিচিত। ১৯১৬-১৭ সালে জেলাশাসক গুরু সদয় দত্তের নামে প্রতিষ্ঠিত হয় গুরুসদয় মঞ্চ ও লিজ ক্লাব। ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সিউড়ির মা ভবতারিণী মন্দির। এ ছাড়াও আছে সুপ্রাচীন কালের রাধাদামোদর মন্দির। সিউড়ির অনতিদূরে আছে তিলপাড়া ব্যারেজ। আর সিউড়ির মোরব্বা এবং আচারের তো দেশ জোড়া প্রসিদ্ধি।
কি ভাবে যাবেনঃ কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেন অথবা বাসযোগে সিউড়ি কাছাকাছি ৪ ঘন্টার যাত্রা বলা যায়। এখান থেকে জেলার সব প্রান্তে যাওয়ার বাস পেয়ে যাবেন।