নন্দিকেশ্বরী মন্দির
নন্দিকেশ্বরী
বর্ধমান-রামপুরহাট লুপ লাইনের গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন সাঁইথিয়া। বীরভূমের বাণিজ্য নগরী এই সাঁইথিয়াতে অধিষ্ঠান করছেন সতীশক্তি নন্দিকেশ্বরী মাতা। ময়ূরাক্ষীর তীরে জঙ্গলাকীর্ণ ভূমির ঘনবটচ্ছায়ে সতীর কন্ঠহার পড়েছিল বলে মনে করা হয়। আজও সারা মন্দিরকে আচ্ছাদন করে আছে সুপ্রাচীন বটগাছ। বিরাজিত পীঠ ভৈরবের নাম নন্দিকেশ্বর। কথিত আছে দাতারাম ঘোষ নামে এক ব্যক্তি এই প্রস্তরময় শক্তিরূপিণীর সন্ধান পেয়ে পূজা শুরু করেন।
নন্দিকেশ্বরী মন্দিরের প্রবেশ দ্বার
মা নন্দিকেশ্বরী বিগ্রহ
উৎসব ও মেলাঃ দুর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মায়ের বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রথে মন্দির সংলগ্ন স্থানে মেলা বসে।
থাকা-খাওয়াঃ সাঁইথিয়ায় প্রচুর হোটেল ও রেস্তোরাঁ আছে। তাছাড়া মন্দিরের পাশেই আছে ধর্মশালা। মায়ের অন্নভোগের ও ব্যবস্থা আছে।
নন্দিকেশ্বরী মন্দিরের প্রাঙ্গনে
নন্দিকেশ্বরী মন্দিরের প্রাঙ্গনে
কি ভাবে যাবেনঃ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বীরভূমের কেন্দ্রস্থল বলা যায় সাঁইথিয়া। ট্রেন যোগাযোগ ছাড়াও লাভপুর, বোলপুর বা সিউড়ি থেকে পর্যাপ্ত বাস পরিষেবা আছে।
কি কি দেখবেনঃ মূল মন্দিরকে কেন্দ্র করেই হনুমান মন্দির, কালীয়দমন মন্দির, জগন্নাথ মন্দির আছে। একটু পায়ে হেঁটে গেলে রক্ষাকালী মন্দির দেখা যেতে পারে।