তারাপীঠ মন্দির
তারাপীঠ
পঞ্চ পীঠ ছাড়াও বীরভূমের শক্তি সাধনার অন্যতম সিদ্ধপীঠ হল তারাপীঠ। কথিত আছে সাধক বশিষ্ঠ মহাচিন থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দ্বারোকা নদের তীরে তপস্যা শুরু করেন এবং জ্যোতির্ময়ী তারার দেখা পান। মহামায়ার দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মময়ী তারা সেই থেকে তারাপীঠে বিরাজ করছেন।বশিষ্ঠের পর রত্নাকরের রাজা জয় দত্তের মৃত পুত্র জীবিত কুন্ডের জলস্পর্শে বেঁচে উঠলে তিনি তারা সাধনায় আত্মমগ্ন হন। তিনি প্রথম মা তারার মন্দির নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে রাজা রামজীবন রায় মন্দির গড়েছিলেন। তারও পরে বর্তমান মন্দির নির্মাণ করেন মল্লারপুরের জগন্নাথ রায় ১২২৫ বঙ্গাব্দে।
মা তারা
তারাপীঠ মন্দির
কি ভাবে যাবেনঃ রামপুরহাট স্টেশন থেকে অসংখ্য ছোট বড় গাড়ি অপেক্ষা করে আছে তারাপীঠ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এছাড়া সাঁইথিয়া থেকে বাসে করেও তারাপীঠ যাওয়া যায়।
কি কি দেখবেনঃ মাতৃদর্শন করে চলে যেতে পারেন দ্বারোকা তীরস্থ মহাশ্মশানে, সেখানে তারা সাধক যোগ সিদ্ধ পুরুষ বামদেবের সমাধি মন্দির আছে। কাছাকাছি অনেক মন্দির আছে। একটু গেলেই আটলা গ্রাম যা সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্মস্থান। খুব কাছেই আছে বৈষ্ণব তীর্থ বীরচন্দ্রপুর যাকে বীরভূমের মন্দির নগরী বলা হয়। সন্নিকটে ঝাড়খণ্ডের মুলুটি গ্রাম, সেখানে গিয়ে দেখে আসা যায় দেবী মৌলিক্ষা মন্দির। স্থানীয় বিশ্বাসে মা মৌলিক্ষা ও মা তারা দুই বোন মনে করা হয়।