বৈষ্ণবভূমি
শাক্ত-শৈব-বৈষ্ণব ভাবধারার মিলনভূমি এই বীরভূম। সহজিয়া বৈষ্ণব সাধনার আখড়া আজও খুঁজলে মিলবে। যেখানে হরিনামে আত্মমগ্ন ভক্ত খুঁজে পায় নবজীবনের সন্ধান। তারই মধ্যে পবিত্র বৈষ্ণব তীর্থভূমি রূপে যেখানে দেশ-বিদেশের ভক্ত এসে এই মাটিতে মাথা ঠেকায় তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল-
বৈষ্ণবভূমি মন্দিরগুলি
জয়দেব তীর্থ কেন্দুলি
রামী চন্ডীদাস তীর্থ নানুর
কীর্তন ঘরানার ময়নাডাল
নিত্যানন্দ ক্ষেত্র বীরচন্দ্রপুর
এই বৈষ্ণবতীর্থগুলি ছাড়াও জেলার নানান প্রান্তে ছড়িয়ে আছে গৌরাঙ্গ - গোবিন্দ মন্দির বা সাধু বৈষ্ণব আখড়া।
বোলপুর সন্নিকটে মুলুক গ্রামে রামকানাই ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীরাধাবল্লভ, শ্রীগোপাল মন্দির শ্রীপাট মুলুককে এক প্রসিদ্ধ তীর্থভূমিতে পরিণত করেছে। আমদপুরের কাছে পাহাড়পুরেও আছে প্রায় চারশ বছরের অধিক প্রাচীন রাধাবল্লভ মন্দির। এ গ্রামেই আছে নিত্যানন্দ পার্ষদ পুরন্দর পন্ডিত প্রতিষ্ঠিত রাধামোহন মন্দির। আবার এই রামকানাই এর উত্তর পুরুষের সঙ্গে জুড়ে আছে সিউড়ি নিকটবর্তী কোমা গ্রামের ঠাকুর পরিবার - বিগ্রহ রামকানাই - রাধারানি নামে পরিচিত। এছাড়া লাভপুরের গোগা ও দুবসা গ্রামে যথাক্রমে গর্গমুনি ও দুর্বাসা মুনির আশ্রমের লোককথা ছড়িয়ে আছে।
জেলার প্রাচীনতম সুবিশাল বটগাছের ছায়ায় আছে চৌহাট্টার কাছে সুন্দিপুর গ্রাম যা সন্দীপ মুনির আশ্রম নামে পরিচিত। আর আছে সিউড়ির কাছে ভান্ডিরবন যা বিভান্ডক মুনির তপক্ষেত্র বলে মনে করা হয়। বর্ধমান রানি বিষ্ণুকুমারীদেবী এখানে প্রতিষ্ঠিত করেন গোপাল মন্দির। ১৭৫৪ কনকপুরের রামনাথ ভাদুরী ভান্ডিশ্বর শিব মন্দির নির্মাণ করেন। অপূর্ব শৈলীর এই গোপাল ও শিবমন্দির বিশিষ্ট ভান্ডিরবন জেলার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। এই বীরভূমের মুলুক, সিউড়ি ও রামপুরহাটে আছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বোলপুরে। ঠাকুর সত্যানন্দ দেবের সাধনভূমি বীরভূমের সিউড়ি ও দুবরাজপুরে আছে রামকৃষ্ণ আশ্রম।
অন্যান্য বৈষ্ণবতীর্থ
ভারত সেবাশ্রম সংঘ, মুলুক, বোলপুর